বরগুনার শতাধিক আধা কাঁচা ঘর আংশিক বিধ্বস্ত ও সহস্রাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে

বরগুনার শতাধিক আধা কাঁচা ঘর আংশিক বিধ্বস্ত ও সহস্রাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে
বরগুনার শতাধিক আধা কাঁচা ঘর আংশিক বিধ্বস্ত ও সহস্রাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে

মোঃ হাইরাজ তালতলী( বরগুনা) প্রতিনিধি ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে তালতলী উপজেলার উপকূলীয় বেরিবাধের বাইরে কয়েক গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের শতাধিক আধা কাঁচা ঘর আংশিক বিধ্বস্ত ও সহস্রাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বাহিরের লক্ষাধিক লোকজন সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নিয়েছিল। আজ শনিবার সকাল থেকে তারা আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি-ঘরে ফিরে যাওয়া শুরু করেছে। বন্যা শেষ হলেও সাগর ও পায়রা নদী উত্তাল রয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে সাগর ও পায়রা সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সকালে বন্যায় সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষের বাড়ি ফিরে গেছে । দক্ষিণাঞ্চল ২০ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। জানাগেছে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেক-তালতলীর উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও হালকা দমকা হাওয়া শুরু হয়। রাত বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃষ্টির ও বাতাসের তিব্রতা বাড়তে থাকে। রাত ১টার দিকে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এ বাতাসের গতিবেগ বেশি সময় স্থায়ী ছিল না। ঘূর্ণিঝড় ফণী ও অমাবশ্যার জোর প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে ছিল। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বাইরে ও চরাঞ্চল এলাকার মানুষ সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেয় শনিবার সকাল হওয়ার সাথে সাথে তারা বাড়ি ঘরে ফিরে গেছে। বন্যায় উপজেলায় শতাধিক কাঁচা ঘর ও পানের বরজ ও ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এদিকে তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টু তার বাসায় আশ্রহীন মানুষদের খাবার বিতরণ করেন। তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবিউল কবির জোমাদ্দার শুক্রবার রাতে ঝড়ের মধ্য থেকে এবং শনিবার সকালে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। এবং কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন শুক্রবার রাত আটটায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয় কিন্তু শনিবার পাঁচটা পর্যন্ত তালতলীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। অপর দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব ও স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তালতলী উপজেলার বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন আশারচর, খোট্টারচর, নিদ্রাসকিনা, ফকিরহাট, বালিয়াতলী, জয়ালভাংঙ্গা, তেতুঁলবাড়িয়া, নিউপাড়া, চরপাড়া, গাবতলী, ছোটবগী, পচাঁকোড়ালিয়া, এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বাহিরে গ্রাম গুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তালতলী উপজেলার কোথাও কোন বড় ধরনের দূর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অপরদিকে অমাবশ্যা জো’য়ে ঘূর্নিঝড় ফনীর কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কাচা শতাদিক ঘরবাড়ি আংশিক কিছু ঘড় সম্পুর্ন বিধ্বস্ত হয়েছে। জ্বলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রন ভেড়ি বাঁধের বাইরের সহস্রাধিক বসতবাড়ি। এ সকল বসতবাড়ির লোকজন তাদের গৃহপালিত পশু নিয়ে প্রায়ই স্থানীয় সাইক্লোন সেল্টার, পাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা পরিষদ ভবন ও গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। আবার কেহ পার্শ্ববর্তী নিজস্ব পাকা ভবনে আশ্রয় নেয়। জলোচ্ছাসে তলিয়ে যাওয়া খোট্টারচর, তেতুলবাড়ীয়া, নলবুনিয়া, আশারচর, নিদ্রারচর, সকিনা, আমখোলা, নিশানবাড়ীয়ারচর ও চরপাড়ার এলাকাগুলোর প্রায় ৫ সহস্রাধিক ঘরবাড়ি ছেড়ে লোকজন সাইক্লোন সেল্টারে গিয়ে আশ্রয়। তালতলী উপজেলার নিদ্রা গ্রামের ইমাদুল জানান, শনিবার সকাল থেকেই মানুষ সাইক্লোন সেল্টার থেকে বাড়ি ঘরে যেতে শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, এ বন্যায় তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব পড়ার পূর্বেই তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ অংঙ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা ও সেচ্ছাসেবী সংঘঠনের লোকজনরা নিরাপদ হীন প্রায় সকল মানুষকে সাইক্লোন সেল্টারে এনেছে